Saturday, November 6, 2010

মন খারাপের রোশনাই ... আবারো



“আজ যানে কি জিদ মত করো” – ফরিদা খানম

গুটিসুটি মেরে থাকা মনখারাপ-গুলো বোধহয় এই আলোর আর আনন্দ’র আবহতেই সব থেকে বেশী মাথা তুলে উঁকিঝুঁকি মারতে থাকে। হঠাত করে মনে হতে থাকে জীবন তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফেলছে হারিয়ে। যে সুতোর টানে বাঁধা পড়ে থাকে সম্পর্ক আর ভালোলাগা, তার টান কেমন যেন আলগা মনে হয়। বুকের ভিতরে একটা চাপা অভিমান, কার জন্য বা কিসের জন্য জানা নেই। জীবনের এই পর্যায়ে একমাত্র প্রতিপক্ষ বোধহয় কেবলমাত্র নিজেই। হিংসা কেবলমাত্র নিজেরই ফেলে আসা জীবন আর ভুলতে বসা জীবনযাত্রা।

“ম্যায় নজর সে পি রাহা হুঁন” – মেহেদি হাসান

স্বপ্ন দেখার আর ভালোলাগা’র দুটো চোখ কেমন যেন ঝাপসা। পৃথিবীর প্রত্যেকটা রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ যে পাগল মনটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতো সেটাও আজ চরম নৈর্ব্যক্তিক। অদ্ভুত এক সমস্যা। কারোকে জানাতে না পারা নিজের অন্তরমহল-কে যতটা ভেঙেচুরে দেয়, ভুল করে সামান্য বহিঃপ্রকাশ নিজেকে অপরাধী করে তোলে।

“ইয়ে দিল, ইয়ে পাগল দিল মেরা, কিঁউ লুট গ্যায়া ... আওয়ারগী” – গুলাম আলি

অহংকার মানুষের সবথেকে বড়ো রিপু। মায়ের সাবধানবার্তা শুনেছি ছোট্টোবেলা থেকে। অহংকার না করার আনন্দটাও যে একরকম অহংকার তা বুঝিনি আগে। বুঝিনি নিজের সীমিত প্রত্যাশা-টাও কোথাও না কোথাও বড্ড বেশী চেয়ে ফেলা। আশ্রয় আর ভরসা দেবার আনন্দ-ও একটা অহমিকা মাত্র। তারপরে যা হবার তাই। অহংকারে পাপ, এবং পাপে জীবন্মৃত্যু।

“সরকতি যা রহে হ্যায় রূক সে নকাব ... আহিস্তা, আহিস্তা” – জগজিত সিং

কিন্তু এটা ভাবতে অবাক লাগে এইভাবে এতকিছু শেষ হতে তো পারে না। আমার বাঊন্ডুলে গুরুর দেয়া “ঈশ্বর, পৃথিবী, ভালবাসার” মন্ত্রের হাতের একমাত্র রয়ে যাওয়া পেনসিল তো সেই আবছা ধারণা যার নাগাল পাওয়ার কথা ভাবা যায় না। কিন্তু বাকি দুটো কিভাবে শেষ হলো তা তো জানতেও পারলাম না। আর কেঊ নয়, নিজের ছায়া’ই মুখ ভেংচে বলছে ... “হিপোক্রিট”। সেই শব্দ যা ভাবতেও ঘেন্না লেগেছে কতোকাল।

“রঞ্ঝা রঞ্ঝা করতি নি ম্যায়, আপ পে রঞ্ঝা হোই” – গূরদাস মান

বিষ ধারণ করতে করতে নীলকন্ঠ হয়েছিলেন দেবতা। মানুষ বোধহয় কবিগুরু’র জবানীতে জেনে শুনেই বিষপান করে। অথবা বিষ দূর করতে গিয়ে বিষিয়ে দেয় নিজেকে। ভবিতব্য।