Saturday, November 6, 2010

মন খারাপের রোশনাই ... আবারো



“আজ যানে কি জিদ মত করো” – ফরিদা খানম

গুটিসুটি মেরে থাকা মনখারাপ-গুলো বোধহয় এই আলোর আর আনন্দ’র আবহতেই সব থেকে বেশী মাথা তুলে উঁকিঝুঁকি মারতে থাকে। হঠাত করে মনে হতে থাকে জীবন তার স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ফেলছে হারিয়ে। যে সুতোর টানে বাঁধা পড়ে থাকে সম্পর্ক আর ভালোলাগা, তার টান কেমন যেন আলগা মনে হয়। বুকের ভিতরে একটা চাপা অভিমান, কার জন্য বা কিসের জন্য জানা নেই। জীবনের এই পর্যায়ে একমাত্র প্রতিপক্ষ বোধহয় কেবলমাত্র নিজেই। হিংসা কেবলমাত্র নিজেরই ফেলে আসা জীবন আর ভুলতে বসা জীবনযাত্রা।

“ম্যায় নজর সে পি রাহা হুঁন” – মেহেদি হাসান

স্বপ্ন দেখার আর ভালোলাগা’র দুটো চোখ কেমন যেন ঝাপসা। পৃথিবীর প্রত্যেকটা রূপ, রস, বর্ণ, গন্ধ যে পাগল মনটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতো সেটাও আজ চরম নৈর্ব্যক্তিক। অদ্ভুত এক সমস্যা। কারোকে জানাতে না পারা নিজের অন্তরমহল-কে যতটা ভেঙেচুরে দেয়, ভুল করে সামান্য বহিঃপ্রকাশ নিজেকে অপরাধী করে তোলে।

“ইয়ে দিল, ইয়ে পাগল দিল মেরা, কিঁউ লুট গ্যায়া ... আওয়ারগী” – গুলাম আলি

অহংকার মানুষের সবথেকে বড়ো রিপু। মায়ের সাবধানবার্তা শুনেছি ছোট্টোবেলা থেকে। অহংকার না করার আনন্দটাও যে একরকম অহংকার তা বুঝিনি আগে। বুঝিনি নিজের সীমিত প্রত্যাশা-টাও কোথাও না কোথাও বড্ড বেশী চেয়ে ফেলা। আশ্রয় আর ভরসা দেবার আনন্দ-ও একটা অহমিকা মাত্র। তারপরে যা হবার তাই। অহংকারে পাপ, এবং পাপে জীবন্মৃত্যু।

“সরকতি যা রহে হ্যায় রূক সে নকাব ... আহিস্তা, আহিস্তা” – জগজিত সিং

কিন্তু এটা ভাবতে অবাক লাগে এইভাবে এতকিছু শেষ হতে তো পারে না। আমার বাঊন্ডুলে গুরুর দেয়া “ঈশ্বর, পৃথিবী, ভালবাসার” মন্ত্রের হাতের একমাত্র রয়ে যাওয়া পেনসিল তো সেই আবছা ধারণা যার নাগাল পাওয়ার কথা ভাবা যায় না। কিন্তু বাকি দুটো কিভাবে শেষ হলো তা তো জানতেও পারলাম না। আর কেঊ নয়, নিজের ছায়া’ই মুখ ভেংচে বলছে ... “হিপোক্রিট”। সেই শব্দ যা ভাবতেও ঘেন্না লেগেছে কতোকাল।

“রঞ্ঝা রঞ্ঝা করতি নি ম্যায়, আপ পে রঞ্ঝা হোই” – গূরদাস মান

বিষ ধারণ করতে করতে নীলকন্ঠ হয়েছিলেন দেবতা। মানুষ বোধহয় কবিগুরু’র জবানীতে জেনে শুনেই বিষপান করে। অথবা বিষ দূর করতে গিয়ে বিষিয়ে দেয় নিজেকে। ভবিতব্য।

Saturday, April 10, 2010

The Shaw Bros (Wine) Pvt Ltd


জায়গাটা আমায় চিনিয়েছিল আমার ভ্রাতৃপ্রতিম সম তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিচরণকারী এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ছোটোবেলায় প্রথম যখন সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়’এর লেখার সাথে পরিচিত হই, তখন শারদীয় আজকাল’এ “কোলকাতার দিনরাত্রি” বলে একটা উপন্যাস পড়ি। নামেই উপন্যাস। আসলে কল্লোল যুগ-এর মাথা-দের (সুনীল, শক্তি, সন্দীপন) বোহেমিয়ান কোলকাতা-বাসের উদ্দাম দিনলিপি। সেখানেই প্রথম শুনি ‘ছোটা ব্রিস্টল’-এর নাম। আনন্দবাজারের অফিস থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে জায়গাটা সে যুগের কোলকাতা’র নামকরা সুরারসিক কবি-সাহিত্যিক-দের মিলনমেলা ছিল। জায়গাটা’র নাম আমাকে খুব খুশি করেছিল। “ছোটা ব্রিস্টল”। বাংলার বুকে হিন্দী’র ছোঁয়ায় ইংরিজী মদের ঠেক। ভেবে রেখেছিলাম বড় হয়ে কখনো না কখনো এই তীর্থস্থানে একবার পা রাখতে হবে। সস্তায় তারল্যর খোঁজে এক দুপুরে আমরা কয়েকজন, আমার সেই বন্ধু’র নেতৃত্বে, স্টেটসম্যান হাউসের পাস দিয়ে, ধর্মতলার মসজিদ আর কাবাবের গন্ধ পেছনে রেখে লেনিন সরনী পেরিয়ে মেট্রোগলির অন্ধকারে পৌঁছালাম “সাহু”তে। ততক্ষণ পর্য্যন্ত্য সেই জায়গাটার নাম “সাহু”ই শুনে আসছিলাম। পৌঁছে দেখলাম আসলে সেটা “The Shaw Brothers’ Wine Pvt Ltd”। লোকমুখে ‘সাহু’। নিউমার্কেটের ধাঁচের আর্কিটেকচার। পুরোনো কোলকাতার গন্ধ। হঠাত করে উপরে চোখ পড়তেই একরাশ য়্যাড্রিনালিন দৌড়াল শরীরে। আরে, এটাই তো সেই আমার সাধের ছোটা ব্রিস্টল। উপরের একটা ছোট্ট বোর্ডে আমার মত পুরোনো স্মৃতি খোঁজা আনাড়ীর স্বার্থেই পুরোনো নামটাও রাখা রয়েছে। দরজা খুলে ঢুকতেই চমক। ঠান্ডা হাওয়া। ধুনোর গন্ধ। কাতারে কাতারে লোক যাদের গড় বয়স ৫৫’র উপরে। পাশে পাশে ঘিঞ্জিভাবে বসে কিন্তু একে আন্যের থেকে মানসিকভাবে চরম দূরত্বে। বাজারের ব্যাগ’এর ফাঁকে উঁকি মারা ফুলকপি, লাউ, ডাঁটা। কারো সাথে পেপার বা হিসেবের খাতা। একই টেবিলে ৬ জন বসে, অথচ কেউ কাউকে চেনে না বা চেনবার চেষ্টা করছে না। বেশীর ভাগ ওয়েটার পক্ক্বকেশ, ষাটোর্ধ্ব। চাট হিসেবে টেবিলে চেনা জিনিসের সাথে পেয়ারা, আলুকাবলি, মেটে-ভাজা, চিঁড়ে এবং সম্ভব অসম্ভব সমস্তকিছু। প্রত্যেকের কাজ শুধুমাত্র মদ খাওয়া, আর কিচ্ছু নয়। ৭০ বছরের বৃদ্ধ ঢুকছেন ঝুঁকে, কাঁপা হাতে শেষ করছেন ৬-৭ পেগ রাম অথবা হুইস্কি, তারপরে বেরিয়ে যাচ্ছেন মাথা উঁচু করে আমাদের লজ্জা দেওয়া সোজা পদক্ষেপে। টয়লেটে দরাজ গলায় হেমন্ত, মান্না, জটিলেশ্বর গাইছেন এক বৃদ্ধ। মোটা গাটাপার্চার ফ্রেমের চশমা-পরা এক বৃদ্ধ আমাদের বয়সী এক বাল্যখিল্য অত্যুতসাহী-কে বকাঝকা করছেন “তুমি মদ খেতে শিখেছ?”। সবমিলিয়ে এককথায় এক মায়াময় পরিবেশ।

এককথায় এই পরিবেশের টানেই বার বার ফিরে গেছি ওখানে। কোলকাতায় আমার প্রিয়তম জায়গার সূচীতে ধর্মতলা-পার্কস্ট্রীটের ফুটপাথের পরেই এই জায়গাকে রাখতে পারি আমি। এবারে কিছু বিশেষ জরুরী বিষয়ঃ
১। বয়স ৪০-এর কম হলে এখানে সামান্য সম্মান-ও আশা না করাই ভালো। তার জায়গায় শুনতে হতে পারে “এরাও আবার মদ খায়!”, “গোলমাল কোরো না, গোলমাল করতে হলে অন্য জায়গায় যাও, এই জায়গার আলাদা ঐতিহ্য আছে”, “২ পেগ খেয়ে টয়লেটে ছোটে, এরা আবার মদ খাবে!!” এরকম সব ভয়ংকর ব্যাঙ্গ। ওয়েটার এবং কাস্টোমার দুজনের কাছ থেকেই।
২। এটা আমার দেখা প্রথম “প্রি-পেড” বার। এখানে ক্রেডিট কার্ড জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করাও নিষিদ্ধ।
৩। এটা আমার দেখা প্রথম জায়গা যেখানে কমপ্লিমেনটারী হিসেবে ছোলা, আদা আর নুন দেয়া হয়।
৪। এখানে ওয়েটারেরা ভীষণ রাগী। এরা একবারের বেশী দুবার কিছু বললে, তাড়াতাড়ি কিছু আনতে বললে, এ,সি, চলাকালীন গরম লাগছে বললে, কম খেয়ে উঠে যাবার চেষ্টা করলে, গান করলে, পেপসি মিশিয়ে হুইস্কি খেলে, এবং আরো অনেক কারণে ভীষণ রেগে যান।
৫। এখানে ভীড় অনুযায়ী ঢোকবার ন্যূনতম বয়স স্থির হয়। খুব ভীড় থাকাতে ২৬ বছরের লোক-কেও বের করে দেওয়া হয়েছে এরকম প্রমাণ আছে।

পুনশ্চঃ - আমার কাকা, যিনি আমার বাবার থেকে বছর-দুয়েকের ছোটো, তিনি একজন সুরারসিক। আমি তাকে একদিন উতসাহের আতিশয্যে জানাই আমি একটা অসাধারণ জায়গা আবিষ্কার করেছি যার পরিবেশ অসাধারণ। সঙ্গে সঙ্গে তার চোখে এক শূন্য দৃষ্টি দেখে আমি নিজেকে সংবরণ করি। ভাবি সেই দৃষ্টি আমার অসংযত জীবনকে পরোক্ষ তিরস্কার। কিন্তু এক মুহূর্ত চুপ থাকার পর তিনি বললেন “ছোলা আর আদা তো?”। বুঝলাম সেই শূন্য দৃষ্টি আসলে এক রসিকের স্মৃতি রোমন্থন মাত্র।

Wednesday, April 7, 2010

শহরে তুই



এখনও তুই শহরে এলে বৃষ্টি পড়ে
হোক না যতই রোদ্দুর ক্লান্ত বৈশাখী দিন
তোর চোখে নামতে নামতে তলানিতে মন
তবুও চোখ তুলে মেঘের টুকরো খোঁজে।

অনুভূতি পাথরের চেয়েও কঠিন এখন
সহানুভূতি হারিয়েছে প্রত্যাশা দুজনারই কাছে
দোষারোপের খেলায় চাপা পড়েছে বন্ধুত্ব
নীরবতা অস্ত্রে কথার দিন আহত।

তবুও কখনও ভোরবেলায় ঘুম ভাঙে
তুই আসবি বলে বাতাসে সোঁদা গন্ধ
উপহারের তুচ্ছ ফুলে সাজে ডালি
গ্রীষ্মের দুপুর কিছুটা স্নিগ্ধতা কুড়োয়।

রাস্তার তাড়া কিছুটা যেন কম
মাথার চিন্তারা একদিনের ছুটিতে
বুড়ো শহর সাজে মায়াবী আলো্য়
বৃষ্টির অপেক্ষায় আমি, মন আর শহর।

কফির টেবিল, সিনেমার পর্দা, সিঁড়ির ধাপ
হিসেব কষা অভিযোগ ভুলে থাকার চেষ্টা
হাল ছেড়েও না ছাড়ার প্রতিশ্রুতি
চোখের আড়াল হবার আগে শেষ চোখে চোখ।

শুনেছি বৃষ্টি হারাচ্ছে পৃথিবী থেকে
ভয় হয় মরুভূমির রুক্ষ সম্ভাবনা
বৃষ্টি হারালে এ মন আর শহর হারাবে আপনজন
হারতে হারতে বাঁচার গল্প শেষ।

তাই শহর এখনো তোর অপেক্ষায় থাকে
বৃষ্টি না হোক, একটা মেঘলা দিন পাবে বলে
আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষায় শুকনো মনের মাটি
বৃষ্টি পড়ুক না পড়ুক আজ দিনটা বন্ধুত্বে ভিজবে।।

Photo Courtesy: Animesh Ray, Trekearth.com

Thursday, March 4, 2010

ট্রামের দশচক্র


ট্রামে ছোটোবেলায় বাবার হাত ধরে অনেক চড়েছিলাম। স্মৃতিগুলো বেশ ফিকে হয়ে গেছিল। এখন এই ২০০৮ উত্তর কোলকাতা-বাসে গতির গোলামি করতে করতে বাস আর ট্রেন ছাড়া ট্রামের দিকে তাকানো হচ্ছিল না আর। একদিন হঠাত দুপুরে শ্যামবাজারের মোড়ের কাছে বাস গেল বিগড়ে। গন্তব্য ছিল কলেজ স্ট্রীট। সময় ছিল অঢেল। আমার এক বন্ধু’র দূরভাষিক পরামর্শে উঠে পড়লাম ট্রামে। পুরোনো স্মৃতি আর আমার পুরাতনী-প্রেম নতুন করে যৌবন লাভ করল। এরপর যখনই সময় পেয়েছি ট্রামের সওয়ারী করেছি। প্রাপ্তবয়স্কর গতিহীনতা আর ঐতিহ্যময় দুরবস্থার বৈশিষ্ট্যে ট্রাম আর আমি কেমন যেন কাছাকাছি। এই ক’দিনের মেলামেশার সূত্র ধরে ট্রাম সম্পর্কে আমি যা যা জেনেছি তা খানিকটা এরকমঃ
১। কারো বয়স যদি ৪৫ এর নীচে হয় তাহলে ট্রাম ও তার স্টেকহোল্ডার’দের কাছে সাদর অভ্যর্থনা আশা না করাই ভালো। আপনার বয়স যদি ২৫ এর আশেপাশে হয়, তাহোলে আপনি একা ট্রামে উঠে বাকি যাত্রীদের গড় বয়স বছর দুয়েক কমিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখেন।
২। ট্রামে ১ম শ্রেণীর কন্ডাক্টর ফিল্টার ছাড়া চারমিনার খান এবং ২য় শ্রেণীতে বিড়ি-টাই প্রথাগত।
৩। ট্রামে উঠে ৫০ বা ১০০ টাকার নোট বাড়িয়ে দেওয়া আইনতঃ দন্ডনীয়।
৪। ট্রাম কলকাতার একমাত্র যান যাতে আপনি পয়সা নেই বলে ভাড়া না দিয়ে নেমে যেতে পারেন, অথচ কন্ডাক্টর আপনার মা বা বোন-কে ভালোবেসে ডাকবে না।
৫। ট্রামে উঠে আপনি অভ্যাসবশতঃ “দাদা, একটু জলদি চলুন, অফিস টাইম” বললে, কণ্ডাক্টর নয়, বাকি যাত্রীরা আপনাকে নামিয়ে দেবে।
৬। ট্রামের কন্ডাক্টরকে ভাড়া না চাইলে ডেকে ভাড়া দেবেন না, উনি আপনাকে আনকোরা ভেবে নামিয়ে দিতে পারেন।
৭। ট্রাম দাঁড়িয়ে থাকলে চাপবেন না, চলন্ত ট্রামে ওঠাই ঐতিহ্যগত-ভাবে সঠিক।
৮। ট্রামে একই বগি-তে ২ জন কন্ডাক্টর থাকলে, যিনি বসে থাকবেন এবং টিকিট কাটার অপচেষ্টা করবেন না, তিনি সর্বহারা ট্রাম শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা।
৯। যাওয়ার জায়গা না চেনা থাকলে ট্রামে উঠবেন না, ট্রামের কণ্ডাক্টর-কে আপনি অনুরোধ করলে তিনি সেটা শুনবেন না, অথবা শুনেও আপনাকে কিছুতেই সেই জায়গায় এলে বলবেন না।
সর্বোপরি, ট্রামে উঠে মহাত্মা গান্ধী রোড, সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যার, বিবাদী বাগ এসব জায়গায় যেতে না চাওয়াই ভালো। সঠিক জায়গায় নামতে হলে এবং সঠিক ভাড়ার টিকিট পেতে হলে আপনাকে হ্যারিসন রোড, ওয়েলিংটন, ডালহৌসি বলতে হবে।
এসব মনে রেখে যারা ট্রামে চড়বেন, দেখবেন, খারাপ লাগবে না।

Friday, February 12, 2010

The Economic Times


In 2004 June I left Graphite India Ltd’s job and came to Kolkata for my preparation for CAT and joined ERUDITE, an MBA Entrance Training Institute, that time was in Camac Street. During the first day of training session, the Institute Director, who happened to be an IIM-ite and Entrepreneur, came up with the advice (or threat?) of reading Economic Times daily to get through the miraculous world of an A+ graded B-School. Thanks to my BMIC (Bengali Medium Inferiority Complex), I used to believe in every word of a person who looks smart and can speak good English. So I believe in him and started reading …. Sorry …. Subscribing the most coveted “Business Newspaper” Economic Times.
After 6 months of struggle I had not managed to open the gate of any of those illusive target B-Schools, but, when I had stopped subscribing Economic Times, thanks to my Engineering Degree, I got a modest job within one month.
In 2008, I’ve again tried to go against the tide and left the job to pursue MBA. This time I have not made the mistake of subscribing “the” Economic Times, and my CAT Score was far better without any kind of preparation. (But this time also I couldn’t manage to get thru a good B-School, but that’s a different story).
After joining MBA, again, faculties came up with the idea of reading “Economic Times” to get a good job. Good job. The only thing, which can be dreamt off from a Business Institute. So I couldn’t resist myself from subscribing again that “Chronicle of Sins committed by Most Respected Indians like Ramalingam Raju et. al.”, in short “The Economic Times”.
One and half year has been passed, while 50% of students of my batch have been placed, but I have failed to get one. Last week, in a boozed state, searching for the reasons of my failure, sitting in my room, I looked at the heap of virgin Economic Times collected over a period of 18 months. At once, at 10:30 pm I dialed the number of my Newspaper Vendor Sanjit-babu and asked him repeatedly to stop the Economic Times from the next day.
Today I have sold all those collection of rubbish to a ‘Raddiwallah’ and got 2 valuable things. This is the first time in my life I have got some benefit out of subscribing “The Economic Times”.
First, that motor mouth ‘Raddiwallah’ gave me a compliment. He told me that though he is in this business for 20 years, he has not seen so many newspapers in ‘such clean and good condition’.(Quite natural, I haven’t opened 98% of those for even a single time). He told me, that, he thinks, though I am a bachelor, I can really take care of my own things.
Secondly, I got 150 Rupees by selling that garbage, and earned 5 day’s free Gold Flake.
And I can guarantee you; I will get a job within one month.
Adieu, The Economic Times.

Wednesday, February 10, 2010

আমার নামে দু-একটা কথা যা আমি জানি


ক্লাসে ঢুকে হঠাত শুনলাম এক সহপাঠিনী’র গলা ভেসে আসছে প্রথম বেঞ্চের সম্পূর্ণ মহিলা পরিবেষ্টিত জটলা’র মধ্য থেকে। যে লাইনটা তীব্র ভাবে কানে এসে বিঁধল সেটা এইরকম “বুড়ো হয়েছে, মদ খায়, গাঁজা-টাঁজা-ও খায়, তার আবার বড়ো বড়ো কথা”। মনে হল এ তো আমি ছাড়া আর কেউ হতে পারে না, ইনস্টিটিউটের এম বি এ’র সেকেণ্ড ইয়ারে এরকম একটা মারাত্মক বাক্যের সাথে ভয়ংকর বেশী রকমের ত্রহ্যস্পর্শ-মিল যুক্ত ছেলে আমার থেকে যোগ্য কেউ হতে পারে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সরাসরি জিজ্ঞাসা করতে লজ্জিত মুখে সহপাঠিনী জানালেন যে তার লক্ষ্য এ-ক্ষেত্রে আমি নাকি মোটেই নই। সন্দেহ রয়ে গেল মনে, তবে মেনে নিতে হল। তবে বাকি কথা শর্তসাপেক্ষে মেনে নিলেও, ‘বড়ো বড়ো কথা’র বিশেষণে আমাকে ভূষিত করা যায় কি না সে ব্যাপারে আমার নিজস্ব আপত্তিও রয়েছে। আমার “তার-সহ্য’র-সীমা-অতিক্রম-না-করলে-হতে-পারে-জীবনসঙ্গিনী”র কথা’য় বিশ্বাস রাখলে বড়ো বড়ো কথা তো দূরস্থান, আমার নাকি ‘সভ্যসমাজে বিবাহযোগ্য কোন পুরুষ’-যোগ্য বাচন-ক্ষমতা’র সীমাহীন অভাব। কোনো তারল্য-ময় মেহফিল্‌’এ তরলতর দশা’য় হৃদয়ের দু-কূল ছাপানো আবেগে’র বশে কখনো মুখ খুললে আমার সতীর্থদের আওয়াজ শুনি, “আবার বাজে কথা শুরু হলো”। কিন্তু সেই বাজে কথা কখোনো “বড়ো বড়ো কথা”র শ্রেণীভুক্ত নয় সে কথা আমি হলফ করে বলতে পারি। যাই হোক, উপরোক্ত ঘটনা হঠাত করে আমাকে ভাবিয়ে তুলল আমার পেছনে আমার চরিত্র চিত্রণ কেমন হতে পারে তা নিয়ে। ছোট্টোবেলায় আমার আত্মীয়স্বজন’রা আমার অনুপস্থিতি’তে আলোচনা করতেন “এ ছোঁড়া সারা বছর হেগে ভুগে একাকার, বাঁচলে হয়”। পাড়া’য় প্রতিবেশী’রা একমত ছিলেন “বাপের হাতে এরকম মার খেয়ে খেয়ে এ ব্যাটা মরবে একদিন”। বলে রাখি, আমার বাবা এবং তার একটা কালো লাঠি, এই দুটো’র মারাত্মক যোগফল-কে আমি এবং আমার বাড়ির ৫০ মিটার ব্যাসার্ধর প্রতিটি বালক বালিকা ভয় পেতো। প্রাইমারী স্কুলের রেভারেন্ড ফাদার জোসেফ সম্ভবত বলতেন “হে ঈশ্বর, যে অকালকুষ্মান্ড তোমার চার্চের জানলার কাঁচ ক্রিকেট খেলে ভাঙ্গে তুমি তাকে অন্ততঃ ক্ষমা করো না”। আমার তবলার শিক্ষক প্রভাস ‘ওঝা’ তার ২ বছর অক্লান্ত এবং অফলপ্রসূ প্রচেষ্টার পরে জবাব দিয়েছিলেন বোধহয় এই বলে “এর থেকে সাপ নাচানো ঢের সহজ”। আমার প্রথম আঁকার শিক্ষক রবীন-বাবু পাগল হয়ে যান, এবং তার পরে যিনি আসেন সেই তুষার-বাবু ৫০ বছর বয়সে বিবাহ করেন। অর্থাৎ ইতিহাস বলে, তিনিও পাগল হয়েই গেছিলেন। এই সবকিছুর পেছনেই আমার অংকন প্রতিভা’র মারাত্মক হাত আছে বলে আজো আমার সন্দেহ হয়। কলেজিয়েট স্কুলের মারাত্মক মারকুটে বাংলা’র শিক্ষক রাম প্রধান ক্লাসে আমাকে না দেখতে পেলেই বলতেন “বেঁটে-টা নির্ঘাত বেঞ্চের তলায় ঢুকে আছে, বেরিয়ে আয়!!!”। ভদ্রলোক নিজে ৪’১০’’ উচ্চতার ছিলেন, তাই ক্লাসের সেইসময়ের সবথেকে ছোটো-সাইজের আমাকে অত্যাচার করে বেশ নারকীয় আনন্দ পেতেন। আমার ইংরিজি’র গৃহশিক্ষক জলধি-বাবু আমার অনুপস্থিতি-তে খুশি হয়ে বলতেন “Empty vessel – টা আজ আসেনি”। আমার বাজে কথা বলার অসম্ভব ক্ষমতা দেখে তিনি আমি আমার সঙ্গে অত্যধিক আওয়াজ নির্গমনকারী কলসী’র মিল খুঁজে পেয়েছিলেন। তবে সত্যি কথা বলতে তার রাগ ছিল অন্য জায়গায়। তার সুন্দরী মেয়ের পেছনে যারা হস্তপ্রক্ষালন করে সারিবদ্ধ হয়েছিল, তিনি আমাকে সেই সমিতির পান্ডা বলে মনে করতেন। অবশেষে আসল আসামী’কে পাকড়াও করার পর তার সেই অহেতুক রাগ অনেকটা কমে গেছিলো। কলেজ জীবনে বেশ কাছের বান্ধবীরা পেছনে বলত “এই গোঁয়ার গাঁইয়া ঠ্যাঁটা ছেলেটার ভাগ্যে কে জুটবে ভেবে কষ্ট হয়”। আজ গর্বের সাথে বলতে পারি আমি তাদের কথা ভেবে আজ অবধি কাউকে কষ্ট দিইনি। যিনি আমার অনুরোধে আমায় বিবাহ করবার গুরুদায়িত্ব নিতে রাজী হয়েছেন তিনি আমার গুণগুলোর সাথে ভীষন ভাবে পূর্বপরিচিত, তাই তার কষ্ট হচ্ছে যেনেও সে দায় মানতে আমি অপারগ। কলেজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গৌরীশংকর আড়ালে বলত “নামেই প্রেসিডেন্ট, কাজের বেলা’য় ঢুঁ ঢুঁ, কেবল বোতলের ভাগাভাগি’র সময়’ই দেখতে পাই”। রুমমেট’রা ৪ বছর একসাথে কাটানোর পরেও অনুযোগ করত “টুম্পা-টা টুম্পা-ই রয়ে গেলো”।

এইভাবে এতবছর কাটানোর পরেও বুঝতে পারলাম একিভাবে এখনও জানতে ইচ্ছা করে এখনকার মন্তব্য-গুলো কিরকম আমি কতটা আমি রয়ে গেছি জানতে লোভ হয় এখনও কান আর মন খোলা রেখে অপেক্ষায় থাকি আজও, নিজেকে চেনার জন্য