Tuesday, November 9, 2021

ছেঁড়া-খোঁড়া ১

## "খাও হে চক্কত্তি"

'অগ্রদানী'র সেই ভয়াল-ভয়ংকর লাইনটা মাথায় সারাজীবন বিভিন্ন বৈচিত্র্যে বেজে এসেছে। যেমন করে 'নবীগঞ্জের দৈত্য'র দুঃখহরণ মাস্টার-এর মাথায় পড়তো অদৃশ্য হাতের গাঁট্টা আর উপদেশ, সেরকম-ই খানিকটা। কখনো নিশ্চিত আরাম ছেড়ে চরম অনিশ্চয়তার দিকে "এগোও হে"। কখনো ভেঙ্গে পড়বার পরে "তুমি তো কর্তব্যটা করেছ হে"। এরকম অনেক কিছু। 

এখন কি বাজছে? যতদূর শুনতে পাচ্ছি "এবার নীরব করে দাও হে"।

## "বাড়ি কোথায়? / আমার কোনো দ্যাশ নাই"

মৌসুমী ভৌমিক অনেকদিনের আত্মার আরাম। কিন্তু তার একটা গান, কান এড়িয়ে গেছিলো এই কিছুদিন আগে পর্যন্তও। তারপর একদিন, ইউটিউবের কানাগলি থেকে আবিষ্কৃত হল সেই গান:

"সবুজ সংকেতে
রাস্তা এপার ওপার করার সময়
পথের কোণে 
সেদিন দুটো পড়ে থাকা শব্দ পেলাম
'বাড়ি কোথায়'?
সেই থেকে আমার সঙ্গে 
ছায়ার মত ঘুরছে ফিরছে 
মাথার মধ্যে, পদ্যে গদ্যে
গানের ছন্দে, হাওয়ার গন্ধে
'বাড়ি কোথায়'?"

সেই থেকে উত্তর খোঁজা চলছে। আংটি চাটুজ্জ্যের ভাই কখনো ফিরতে চাইলে ফিরবে কোথায়, এক্কেবারে শেষ বারের মতো হারিয়ে যাবার আগে? 
ঋত্বিক নিশ্চই জানতেন শুধু কাঁটাতার পেরোনো মানুষই 'দ্যাশ' খোঁজে না। 

## "সে ডাকে আমারে, বিনা সে সখারে, রহিতে মন নারে"

ঔদাসীন্য, নাস্তিকতার ধাপ পেরিয়ে অজ্ঞেয়বাদ এর দরজায় কড়া নাড়া, যা ধীরে ধীরে অদ্বৈতবাদ ছুঁতে আনাড়ি চেষ্টা করছে, তা কি নিতান্তই মানসিক অক্ষমতার একটা ম্যানিফেস্টেশন? 

উত্তরে বার্গম্যান এর সেভেন্থ সিল এ যুদ্ধফেরত নাইট ম্যাক্স ভন সিডো ও তার পার্শ্বচর গুন্নার জর্নস্ট্যান্ড এর মধ্যের কথাবার্তার ফ্রেমটা পড়ে থাকে শুধু।

No comments:

Post a Comment