
চলো হে, এবারে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিই
খুব কম সময়েই সময়ের সাথে ঠোকাঠুকিতে অবসন্ন মন
বাক্স, বিছানা, মনের দোর তালাবন্ধ করে
গভীর বোবা রাতগুলোর দীর্ঘশ্বাস শুনে সময় কাটাই এখন।
ছেলেটা বড় বেশী পেয়ে গেছিল ছোট্টো জীবনে
একলা ভালোবাসার স্পর্ধা, বাতাসে আনন্দ, সহমর্মী হাত
তুচ্ছ ছোটো অনূভূতি ভরা পাহাড়প্রমাণ গর্ব
একটা বই, ছবি বা গানের কোলে কাটিয়ে দেয়া পুরোটা রাত।
কথা বলতে বলতে সাথে থাকার ভরসা দিয়েছিল
সঙ্গ না ছাড়ার অহংকারে সাথী’র হাত ছেড়েছিল যখন
বোঝেনি বাস্তবকে ছাড়িয়ে যাবার স্বপ্নই সার
দুনিয়া-য় অতীত ভরসা বা অবলম্বন-এর শেষ প্রয়োজন।
নিঃশ্বাসে মিশেছে বিষ? ছটফট করছে তাই আপন?
তবুও কেন ছোট্ট একটা ছেলে ঘাড়ে মাথা রেখে ভালো থাকে
অথবা আর একটা মন উজাড় করে তার ভালোলাগা
বিষিয়ে যেতে যেতে এতগুলো মনের কোণ ছোঁয়া যেতে পারে?
রক্তাক্ত হাতে শীতল মৃত্যু’র অভিযোগ ঘাড়ে নিয়ে
দিব্যি বেঁচেবর্তে থাকে যারা তারা বোধহয় ক্ষণজন্মা বিচক্ষণ
কারো কারো মাথায় এ বোঝা মৃত্যুর চেয়েও ভারী
শেষ হবার প্রস্তুতি নেবার ভাবনা’ও বাড়ায় অনুশোচনা’র ওজন।
কিভাবে কাটবে রাত জানেনা দীর্ঘ এ অনভিজ্ঞ সন্ধ্যা
আচ্ছন্ন থাকার আড়ালে সত্যি গোপনের অভিনয় হয় রোজ
বারবার ভেসে আসা ঘৃণা তবু পেছন ছাড়েনা
ঘুম ভাঙ্গা মাঝরাত্তিরে ভয় অশরীরি হত্যার অভিযোগ।
কে তুই? অহর্নিশি জিজ্ঞাসা’য় বিরক্ত বিপন্ন সত্ত্বা
অহংকারী? হত্যাকারী? ব্যাভিচারী? অথবা কোন প্রতারক?
বারে বারে ফিরে যাওয়া উত্তরেরা যতই নিরীহ
ততটা স্বাভাবিক বা শান্ত নয় তোমার ছোঁয়ায় নরক।
নিজের জিজ্ঞাসা হারিয়েছে পথ বা পথের সন্ধান
অভিশাপে অন্ধ মন প্রতিবন্ধী জীবন আজো দিশেহারা
ভোর হবে বলে জাগা রাত দুঃস্বপ্নে আঁধার-ই দেখে
শেষ সময়ের প্রস্তুতি নেবে কিভাবে ভাবে রাতজাগা তারা।।
No comments:
Post a Comment