“সারারাত জ্বলেছে নিবিড়
ধূসর নীলাভ এক তারা
তারই কিছু রঙ নাও তুমি” - সুমন
রাতগুলো ছিল আমার মত একলা
দরজায় খিল থাকত না আমার
লজ্জায় মুখ লুকিয়ে চোরের মতো নামতো রাত আমার ঘরে
সারারাত রাতের সাথে গল্প, রাগ, অভিমান, হাসি, কান্না ... অবশেষে ঘুম
ভোরের পাখির ডানার শব্দে ফিরে যেত রাত
কথা দিত, ‘আবার আসব, সেদিন ঘুমিয়ে পড় না যেন’।
ধোঁয়ার কুয়াশার চাদর সরিয়ে
পাশের বাড়ীকে ঘুম পাড়িয়ে খবর আনত রাত
‘শুনেছি কষ্টে আছে পাগলীটা?
নিজের ভালোবাসার পেছনে ছুটতে ছূটতে
ভালোবাসায় জমে ওঠা ভুলের পাহাড়-গুলো সরাতে সরাতে
আবার নতুন করে ভালোবাসার ভুল করে ফেলেছে ও?’
তখনও সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে না পড়া চেতনা তীব্র প্রতিবাদ করেছে
‘ভুল করে একই ভুল বারবার করা ভুল নয়,
আত্মদাহের নেশা,
নেশার ফল মৃত্যূ, আজ নয়তো কাল, শরীরের নাহলে মনের।’
চাঁদের আলোর ছটায় মুক্তোর মতো হেসে রাত রাখল হাত চেতনার কপালে
রাতের মায়াময় ছোঁয়ায় জল এল চেতনার দুচোখ বেয়ে
মনে পড়ল নিজের ভুলে ভরা ভালোলাগা-গুলোকে
ঘুমিয়ে পড়ল আমায় আর রাত্রিকে একলা ছেড়ে।
কখনও রাত বয়ে আনত নিজের সাথে কিছু দীর্ঘনিঃশ্বাস
ছোট্ট একটা মন, যে চেয়েছিল জীবনের প্রথম বিশ্বাসকে মন দিতে
বলে পাঠিয়েছে রাতের হাতে
‘সবটাই ছেলেখেলা বলে যা এড়িয়ে গেছে ভালোবাসার বিবেক
তা নিয়ে যেন চিন্তা না করে আর
আমার মনের মণিকোঠায় থাকবে তা যত্নের তুলোয় মোড়া
কোনদিন দাবী করে না যেন অন্যে
অবিশ্বাসীর নেই বিশ্বাসের অধিকার অথবা স্মৃতির মালিকানা।’
উতলা মন হাত ধরে মিনতি করে রাত্রি’র
‘একবার বোলো তাকে গিয়ে
যা করেছি তা তার ভালোর জন্যই।’
রাত্রি কঠোর চোখে চেয়ে মন-কে বলে
‘এরকমই ভালো যদি কখনও তোমার সাথে হয়
কি করবে তখন?’
মন বলে আর মন ভাবে
‘বোধহয় তোমার অন্ধকারেই মুখ লুকোবো রাত্রি
তোমারই নিঃস্তব্ধতায় খুঁজবো তোমার প্রশ্নের উত্তর’।
এভাবেই একদিন একাকীত্ব-কে একলা বন্ধুটার খোঁজ দিলো রাত্রি
একসময় যাকে ছেড়ে আসতে হয়েছিল সময়ের হাতে
আজকের এই অশান্ত সময়ে সে নাকি খুঁজে চলেছে কিছু শান্তির রাত্রি
একাকীত্ব অস্থির হয়ে ওঠে
চেতনাকে পাঠাতে চায় হাত ধরতে তার
মন তৈরি হয় রাত্রির সাথেই বেরিয়ে পড়তে
রাত্রি বলে ‘পারবে তো চিরকাল এভাবেই দিতে সঙ্গ?
যদি কখনও জানতে পার একাকীত্ব’র সাদা-কালো আকাশে রামধনুর রঙ ভরা,
তোমার সাধ্যের অতীত?
যদি কখনও দেখ একটা হাত ধরতে ছাড়তে হয় অনেকগুলো হাত?’
চেতনা, মন আর একাকীত্ব’র সাথে নিরুত্তর থাকি আমিও
সব প্রশ্নর উত্তর বোধহয় দেয়া যায় না।
আজ বুঝি রাত্রির সেই ব্যকুল জিজ্ঞাসার মানে
আমাকে করতে পূর্ণ রাত্রি ছাড়িয়েছে হাত
হয়ত নিজের অন্ধকার দিয়ে আজ আলো করে বসে থাকে অন্য কোনো একলা পাগলের ঘর।
একটাই চাওয়া, ফিরে এসো রাত্রি!
তুমি ভুল ছিলে রাত্রি, অথবা আমি ছিলাম লোভী
এক একাকীত্ব-কে পূরণ করার ক্ষমতা অন্যর নেই,
যারা তোমার সাথে বড় হয়েছে রাত্রি
তারা তোমারি মত নিঃসঙ্গ থাকবে সারাজীবন
তুমি তাদের ছেড়ে যেও না।।
“বড় বেরঙীন আজকাল কাছাকাছি
কোন রঙ পাই না তাই
দিতে পারি না কিছু
কিছুই রাঙানো হল না তাইতো” - সুমন
ধূসর নীলাভ এক তারা
তারই কিছু রঙ নাও তুমি” - সুমন
রাতগুলো ছিল আমার মত একলা
দরজায় খিল থাকত না আমার
লজ্জায় মুখ লুকিয়ে চোরের মতো নামতো রাত আমার ঘরে
সারারাত রাতের সাথে গল্প, রাগ, অভিমান, হাসি, কান্না ... অবশেষে ঘুম
ভোরের পাখির ডানার শব্দে ফিরে যেত রাত
কথা দিত, ‘আবার আসব, সেদিন ঘুমিয়ে পড় না যেন’।
ধোঁয়ার কুয়াশার চাদর সরিয়ে
পাশের বাড়ীকে ঘুম পাড়িয়ে খবর আনত রাত
‘শুনেছি কষ্টে আছে পাগলীটা?
নিজের ভালোবাসার পেছনে ছুটতে ছূটতে
ভালোবাসায় জমে ওঠা ভুলের পাহাড়-গুলো সরাতে সরাতে
আবার নতুন করে ভালোবাসার ভুল করে ফেলেছে ও?’
তখনও সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে না পড়া চেতনা তীব্র প্রতিবাদ করেছে
‘ভুল করে একই ভুল বারবার করা ভুল নয়,
আত্মদাহের নেশা,
নেশার ফল মৃত্যূ, আজ নয়তো কাল, শরীরের নাহলে মনের।’
চাঁদের আলোর ছটায় মুক্তোর মতো হেসে রাত রাখল হাত চেতনার কপালে
রাতের মায়াময় ছোঁয়ায় জল এল চেতনার দুচোখ বেয়ে
মনে পড়ল নিজের ভুলে ভরা ভালোলাগা-গুলোকে
ঘুমিয়ে পড়ল আমায় আর রাত্রিকে একলা ছেড়ে।
কখনও রাত বয়ে আনত নিজের সাথে কিছু দীর্ঘনিঃশ্বাস
ছোট্ট একটা মন, যে চেয়েছিল জীবনের প্রথম বিশ্বাসকে মন দিতে
বলে পাঠিয়েছে রাতের হাতে
‘সবটাই ছেলেখেলা বলে যা এড়িয়ে গেছে ভালোবাসার বিবেক
তা নিয়ে যেন চিন্তা না করে আর
আমার মনের মণিকোঠায় থাকবে তা যত্নের তুলোয় মোড়া
কোনদিন দাবী করে না যেন অন্যে
অবিশ্বাসীর নেই বিশ্বাসের অধিকার অথবা স্মৃতির মালিকানা।’
উতলা মন হাত ধরে মিনতি করে রাত্রি’র
‘একবার বোলো তাকে গিয়ে
যা করেছি তা তার ভালোর জন্যই।’
রাত্রি কঠোর চোখে চেয়ে মন-কে বলে
‘এরকমই ভালো যদি কখনও তোমার সাথে হয়
কি করবে তখন?’
মন বলে আর মন ভাবে
‘বোধহয় তোমার অন্ধকারেই মুখ লুকোবো রাত্রি
তোমারই নিঃস্তব্ধতায় খুঁজবো তোমার প্রশ্নের উত্তর’।
এভাবেই একদিন একাকীত্ব-কে একলা বন্ধুটার খোঁজ দিলো রাত্রি
একসময় যাকে ছেড়ে আসতে হয়েছিল সময়ের হাতে
আজকের এই অশান্ত সময়ে সে নাকি খুঁজে চলেছে কিছু শান্তির রাত্রি
একাকীত্ব অস্থির হয়ে ওঠে
চেতনাকে পাঠাতে চায় হাত ধরতে তার
মন তৈরি হয় রাত্রির সাথেই বেরিয়ে পড়তে
রাত্রি বলে ‘পারবে তো চিরকাল এভাবেই দিতে সঙ্গ?
যদি কখনও জানতে পার একাকীত্ব’র সাদা-কালো আকাশে রামধনুর রঙ ভরা,
তোমার সাধ্যের অতীত?
যদি কখনও দেখ একটা হাত ধরতে ছাড়তে হয় অনেকগুলো হাত?’
চেতনা, মন আর একাকীত্ব’র সাথে নিরুত্তর থাকি আমিও
সব প্রশ্নর উত্তর বোধহয় দেয়া যায় না।
আজ বুঝি রাত্রির সেই ব্যকুল জিজ্ঞাসার মানে
আমাকে করতে পূর্ণ রাত্রি ছাড়িয়েছে হাত
হয়ত নিজের অন্ধকার দিয়ে আজ আলো করে বসে থাকে অন্য কোনো একলা পাগলের ঘর।
একটাই চাওয়া, ফিরে এসো রাত্রি!
তুমি ভুল ছিলে রাত্রি, অথবা আমি ছিলাম লোভী
এক একাকীত্ব-কে পূরণ করার ক্ষমতা অন্যর নেই,
যারা তোমার সাথে বড় হয়েছে রাত্রি
তারা তোমারি মত নিঃসঙ্গ থাকবে সারাজীবন
তুমি তাদের ছেড়ে যেও না।।
“বড় বেরঙীন আজকাল কাছাকাছি
কোন রঙ পাই না তাই
দিতে পারি না কিছু
কিছুই রাঙানো হল না তাইতো” - সুমন
No comments:
Post a Comment