চল্লিশ পেরোলো? কিছুটা নিজের জন্য বাঁচা শুরু করেছেন তো?
গ্রীক পুরাণের য়্যাটলাস এর মত পৃথিবীর বোঝা আপনার ঘাড়ে নেই
এমনকি আপনার কর্মস্থল-ও দিব্যি চলতে পারে আপনাকে ছেড়ে দু একটা ঝাঁকুনি দিয়ে
বাজারে যে লোকটার থেকে সবজি নেন
তার দিকে দাম বেশি নেবার সন্দেহের দৃষ্টি ছাড়া অন্যভাবে তাকিয়েছেন কখনো?
দু একটা সুখ দুঃখের গল্প করে আর দরাদরি না করে ফেরত এসেছেন?
মাসের শেষে ময়লা ফেলবার লোকের হাতে দু-দশটাকা বেশি দিয়ে দেখেছেন?
যে বৃদ্ধ প্রতিবেশী আপনাকে তার সাতপুরোনো গল্প বারবার বলে এসেছেন, প্রশ্রয় দিয়েছেন তাকে?
এই ভেবে, যে প্রত্যেকবার বলবার সময় যে খুশিটা তার মুখে ঝিলিক দিচ্ছে সেটা অমূল্য!
লোকের ভুলকে চোখে আঙুল দেখিয়ে দেওয়া বন্ধ করেছেন?
বুঝতে পেরেছেন যে ভগবান তার দুনিয়ার ভুল সাফ করবার ইজারা দিয়ে পাঠাননি আপনাকে?
বয়সে ছোটদের দরকারের থেকে একটু বেশিই উৎসাহ আর প্রশংসা গলা তুলে দিতে পারছেন?
চুল না আঁচড়ে বা একটু সাধারণ জামাকাপড়ে বাইরে যেতে লজ্জা একটু কমেছে?
যে লোক আপনাকে তাচ্ছিল্য আর সন্দেহ করে এসেছে তাকে মন থেকে বিদায় দিয়েছেন?
হাজার হোক, যে আপনার মূল্য দেয়নি, তাকে দরকারের বেশি সময় দেওয়ার দরকার বোধহয় নেই!
এই বয়সে এসে নিজের মূল্য বোধহয় আপনি জানেন।
কর্মক্ষেত্রে ইঁদুরদৌড়ে বিরক্ত না হয়ে মজা পেতে শুরু করেছেন?
এটা ভেবে, যে আপনি অন্ততঃ ইঁদুর নন!
নিজের ভালোলাগা নিয়ে থাকতে আর কথা বলতে লজ্জাটা অবশ্যই ঝেড়ে ফেলেছেন আশাকরি?
ঠিক আজকের দিনটাই আপনার শেষ দিন হতে পারে
'হতে পারে' শেষ দিনটা নিজেকে খুশি করে, নিজের মতো বাঁচছেন তো?