প্রদীপ জ্বালাতে সস্তার সরষের তেল কিনতে হচ্ছে না আর। তুলো পাকানো সলতে থেকে প্যাকেটবন্দী পযজামার দড়ির মিনি সংস্করণ-রূপী সলতেরও জীবনাবসান হলো। ঝোড়ো বাতাস থেকে মোমবাতির অস্থির শিখা-কে প্রয়োজনের তুলনায় বড্ডো ছোটো হাত দিয়ে আড়াল করবার মতো ছেলেগুলোও অদৃশ্য। অরুণাচল প্রদেশ, মাওবাদ, দলাই লামা, সমরসজ্জার বেড়াজাল ডিঙিয়ে ‘কমিউনিস্ট’ চীন এখন সরবরাহ করছে শক্তিপূজার ইলেকট্রিক প্রদীপ আর ইলেকট্রনিক মোমবাতি। তবে অনেককিছু একই আছে। তিনতলার ফ্ল্যাটের জানলার থেকে মুখ বাড়িয়ে দেখতে পাচ্ছি, যে ছোট্টো বাচ্চাটা বাজীর শব্দে কাঁদছে, চারতলার খাড়াচুলো বদমায়েশ গুড্ডু চকলেট বোমার উপর টিনের কৌটো চাপা দিচ্ছে, পাড়ার নেড়ী কুঁইকুঁই তারাবাতি দেখে প্রাণপণে ল্যাজ গুটিয়ে ছুটছে ... এগুলো এখনও একই আছে মনে হয়। শুধু অঞ্জনের ভাষায় আমারই “মনের বয়স বাড়ছে” বোধহয়। জ়েনেটিক্যালি মডিফায়েড শ্যামাপোকা’র আক্রমণে বিদ্ধ্বস্ত হয়ে ঘরের জানলা খুলতে পারছি না কয়েকদিন হলো। ৮ ফুট বাই ৮ ফুট রান্না কাম ভাঁড়ার কাম জ়ুতো রাখার ঘরের জানলায় ৬ টা মোমবাতি জ্বালিয়ে আর নিচের বাচ্চাগুলোর খুশি থেকে গোপনে খানিকটা চুরি করে এবারের কালীপূজো অথবা দীপাবলী শেষ করলাম।
Saturday, October 17, 2009
মন খারাপের রোশনাই
Subscribe to:
Posts (Atom)